নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল বিগত আওয়ামী দুঃশাসন, দুর্নীতি ও বিচারহীনতার অবসান ঘটবে। প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের ভোটাধিকার। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণে দৃঢ় হবে। মেধার ভিত্তিতে কোটামুক্ত চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এসব অঙ্গীকার নিয়েই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো। হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে ‘৩৬ জুলাই’ খ্যাত ৫ আগস্ট পতন ঘটে দেশের বুকে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ফ্যাসিস্ট সরকারের। বিজয় অর্জন করে ছাত্র-জনতা। তবে বছর না যেতেই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হোঁচট খেতে হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষ কয়েকটি মৌলিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করেছিল। যেমন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণহত্যার বিচার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ নিলেও এক বছরে বিচারের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। ‘জুলাই সনদ’ নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংস্কার, বৈষম্য নিরসনের পথ এখনও সুগম হয়নি। ফলে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির দোলাচলে ভুগছে আন্দোলনকারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক ও অধিকার সচেতনতা বেড়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি বেড়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর মানুষের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। এবার তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। সবার প্রত্যাশা ছিল সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো তৈরি হবে এবং একটি জবাবদিহিমূলক সরকার আসবে। সংস্কারের মাধ্যমে তারা একটি নতুন বাংলাদেশ পাবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি। ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে না পারায় ভোট দেওয়ার আকাক্সক্ষা আছে, তা-ও এখন দৃশ্যমান নয়। মানুষ আশা করেছিল, যাদের কারণে গুম-খুন হয়েছে, অন্তত তাদের বিচার দৃশ্যমান হবে। সেটিও হয়নি। এসব কারণে এক বছরের মাথায় এসে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ হতাশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোকসানা খন্দকার বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মানুষের মূল আকাক্সক্ষা ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। মানুষ যে আকাক্সক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছিল, সেই আকাক্সক্ষা থেকে বর্তমান সরকার অনেক দূরে। ফলে গণমানুষের আকাক্সক্ষা এখনও পূরণ হয়নি। তরুণ সমাজকে এই এক বছরে আমরা কী দিতে পেরেছি সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। সরকারের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর আকাক্সক্ষা ধারণ করে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাওয়া। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আন্দোলনের সময়কার দেয়াল লিখন, স্লোগান ও মানুষের ভাষা ছিল পুরোনো রাজনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দেশে গণতন্ত্র ছিল না, ছিল না জবাবদিহি। চলত ভোটের প্রহসন, দমন-পীড়ন এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি। যে ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল, আশ্চর্যের ব্যাপার এক বছরেও সেই কোটা সিস্টেমটা কী হবে তার একটা সামগ্রিক সমন্বিত নীতি তারা গ্রহণ করতে পারেনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রব্বানী মনে করেন, দলমত নির্বিশেষে যে লক্ষ্য নিয়ে দেশের মানুষ গণআন্দোলন করেছিল গত এক বছরে তা ব্যর্থ প্রমাণ হয়েছে। যে লক্ষ্য নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছিল সেখান থেকে সরে গিয়ে দেশে একটি কিংস পার্টি গঠিত হয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে সরে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল জনগণ তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের বিতর্কে। গত ১৫ বছর ধরে যেসব রাজনৈতিক দল নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাও আজ নানা কুকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বস্তি ফিরে পাওয়ার যে আশা করেছিল তা পূরণ হয়নি। একটি নির্দিষ্ট কোটা থেকে মানুষগুলো সরকারে এসেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর জনগণের স্বস্তির থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর, যা দেশের মানুষের জন্য খুবই হতাশাজনক। এসব কারণে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বেহাত হয়েছে। যে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল আবারও ভর্তিসহ বিভিন্ন স্থানে তা বহাল হয়েছে। বিশেষ সুবিধা কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গেজেটভুক্ত শহিদ এবং তালিকাভুক্ত আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। তবে সেই কোটাই ভিন্নভাবে ফিরে এলো! এমনিভাবে সব বিষয়ে পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তার সব অর্জন একটি দল ও একক ব্যক্তির নামে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। তেমনিভাবে ২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানও শুধু একটি দল এবং তিন-চারজনের নামে কুক্ষিগত করা হচ্ছে। যে বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আন্দোলন সেই বৈষম্য সবখানে লক্ষণীয়। চেয়ার আর চেহারার পরিবর্তন হয়েছে মাত্র।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। এ কারণে এক বছরের মাথায় এসে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় হতাশা বেড়েছে। তার মতে বেশি প্রত্যাশা করাটাই মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা আন্দোলনটা ছিল সরকারি চাকরির আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে আভিজাত্য ও বিস্তর সুযোগ-সুবিধা আছে বিধায় তারা কোটামুক্ত চাকরির সুযোগের জন্য আন্দোলনে গিয়েছিলেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি বড় অংশ দেশটিকে গড়ে তুলবেন, এই আশা নিয়ে তো আন্দোলনে যাননি। তারা তো হাসিনা সরকারের অধীনেই সরকারি চাকরির জন্য আন্দোলন করেছিলেন। তারা তো আন্দোলনের সময় বলেননি তাদের দাবি না মানলে তারা হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। কিন্তু পরে সরকারি হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার পর সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সম্পৃক্ত হলে গণঅভ্যুত্থান সফল হয়। তাদের প্রত্যাশা ছিল ভোটের অধিকার, দ্রব্যমূল্য কমানোসহ নিজেদের বিভিন্ন অধিকার ফিরে পাওয়া। কিন্তু এক বছরেও সেসব প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
অভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধা শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, তারা যে চেতনা নিয়ে জুলাই আন্দোলন করেছিলেন, তার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য দূর করা, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। সবাই মিলে একটা অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের দলীয় স্বার্থে জুলাইয়ের মূল উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে এসেছে। মূল লক্ষ্য ছিল সমাজের বৈষম্য দূর করা, সেটি আমরা করতে পারিনি। সবার জন্য আইন সমান, সেটিও করতে পারিনি। বাকস্বাধীনতা ছাড়া একটাও পূরণ হয়নি। সাধারণ মানুষ সেই সময়েও নিপীড়িত ছিল, এখনও নিপীড়িত-বঞ্চিত রয়েছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে মানুষের মধ্যে নতুন একটা রাষ্ট্রব্যবস্থার যে আকাক্সক্ষা সেখানে আমরা হয়তো খুব বেশি অগ্রগতি দেখতে পাইনি। তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে, সেটিও স্বীকার করতে হবে। যেমন আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরেছে। যদিও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি, তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রতিকূল একটা পরিবেশের মধ্যেও দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে ছিল। এগুলো ইতিবাচক বিষয়। আবার মানুষের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভও আছে, বিশেষ করে এই সরকারের আমলে বিভিন্ন ধরনের সঙ্ঘবদ্ধ মব সৃষ্টি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গোটা আন্দোলনটাই ছিল একটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। কিন্তু বাস্তবে গত এক বছরে বৈষম্য বিলোপের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি কমিশন গঠন করলেও বৈষম্য বিলোপের জন্য কোনো কমিশন হয়নি। তার মতে গত এক বছরে বৈষম্য আরও বেড়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিনিয়োগ বাড়ছে না। এর মধ্যে শ্রেণি বৈষম্য, ধনী-গরিবের বৈষম্য অনেক বেশি বাড়ছে। আমরা অভ্যুত্থান করেছি যে চেতনার ভিত্তিতে, বাস্তবে সরকার মনে হচ্ছে উল্টো দিকে হাঁটছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে কেবল দীর্ঘশ্বাস দেখছি। এটি একটা হতাশার জায়গা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে সবাই গণতন্ত্রের প্রত্যাশা করেছিল। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটা সাধারণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিল। এখনও আমরা সেই নির্বাচন পাইনি। একইভাবে ছাত্রদের শিক্ষার সমস্যা, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়েছে বলেও মনে হয়নি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রয়োজন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেই ব্যবস্থা এখনও হয়নি। একইভাবে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার কাজও শুরুই হয়নি। অন্যদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা-নির্যাতনের জন্য দায়ীদের বিচারের ব্যবস্থাও প্রত্যাশিত গতিতে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার আসলে যেসব কাজ করার দরকার নেই তারা সেই কাজেই বেশি ব্যস্ত। ফলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাসের জন্ম নেওয়ায় ঐক্যে ফাটল ধরেছে। সরকার চাইলে এখনও সেটি ফিরিয়ে আনতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক আশা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের সব আশা পূরণ হয়নি। মনে হচ্ছে, অভ্যুত্থানের আগের সেই পুরোনো সিস্টেম, পুরোনো সংস্কৃতি ও পুরোনো নিয়মকানুন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমাদের এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থান যারা সফল করেছেন, তারা এখনও জাগ্রত আছেন এবং রাজপথে আছেন। এখনও যদি কেউ মনে করেন পুরোনো দখলদারিত্ব এবং পুরোনো সন্ত্রাসের রাজত্ব ফেরত আসবে-তাদের পরিণতিও কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার মতো হবে।





